অদূর-ভবিষ্য-মনুষ্য প্রজাতি

খুব শিগগির কথা-বলা মানুষ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। মানুষ আর মানুষের সাথে ঠোঁট নাড়িয়ে নাড়িয়ে বাগযন্ত্র ব্যবহার করে শব্দ সৃষ্টি করে কথা বলবে না। স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্নের ব্যবহার মানুষ ভুলে যাবে।

দুটি মানুষ পাশাপাশি থাকলেও তারা মনের ভাব প্রকাশ করবে তাদের বিবর্তিত শরীরে থাকা নতুন তড়িতাহিত ডিভাইসের সাহয্যে। কোড ব্যবহার করে।
নারী থাকবে পুরুষ থাকবে। তবে তারা একে অপরকে ছোঁবে না। পুরুষ নারীকে জড়িয়ে ধরবে না। তারা আর চুমু খাবে না। তারা সঙ্গম করবে না।
তাহলে সন্তান হবে ক্যামনে?
আসলে পুরুষের সিমেন থেকে তরঙ্গের মাধ্যমে ফোটনাকারে শুক্রাণু নারীর ফেলোপিয়ান টিউবে নিঃসৃত হবে।আলোক কণার মত বায়ুমাধ্যমে সঞ্চালিত হবে ক্রোমোসোম ।
কোন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী বা পুরুষ তাদের পছন্দের পুরুষ বা নারীকে রিকুয়েষ্ট পাঠাবে। এখনকার ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠানোর মত। বায়ো দেখে একসেপ্টেইবল মনে হলে সে নারী বা পুরুষ রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করে তারপর পাসওয়ার্ড বিনিময় করে পরস্পরের ছবি বা ভিডিও দেখে পরস্পরের মধ্যে মত বিনিময়ের মাধ্যমে তারা অর্গাজমিত হবে।
এটাই হবে তখনকার মানুষের কপুলেশন।
একদিক থেকে ভালো হবে সকালে খবরের কাগজে আর ধর্ষণের খবর ছাপা হবে না।
কিন্তু ধর্ষণ হবে যদি কোনো পুরুষ কোন নারীর যোনি হ্যাক করে জোরপূর্বক তার ক্রোমোসোম সেন্ড(ইজাকুলেইট) করার চেষ্টা করে। অথবা কোন নারী কোন পুরুষের টেসটিস হ্যাক করে গোপনে ক্রোমোসোম কালেক্ট করে নেয় তাহলে ঐ নারী বা পুরুষ তথ্য প্রযুক্তির আওতায় সাইবার মামলা ঠুঁকে দিতে পারবে।
তাদের মস্তিষ্কের সম্মুখে ফ্রন্টালাংশে চক্ষুকোটর থাকবে না। আমরা যেমন মোবাইল বা মনিটরের পর্দায় চোখ রেখে বিশ্বের যাবতীয় ছবি ভিডিও দেখতে পাই তেমনই পর্দা থাকবে।
মস্তিষ্ককে আবৃত করে রাখা সম্পূর্ণ করোটিকা-টি এই স্ক্রিন হিসেবে ব্যবহৃত হবে। যেন গোলকাকৃতির মনিটর। মানুষের মস্তিষ্ক হয়ে যাবে ফুটবলের মত। গলার উপরে ফুটবল রাখলে যেমন দেখতে হয় তেমন দেখাবে তখনকার মানুষদেরকে।
মস্তিষ্কের ভিতরে মাঝ বরাবর থাকবে চোখ। যেটা চারিদিকে ঘুরেঘুরে বাইরের জগতকে দেখতে পারবে স্ক্রিনের উপর। মনে হবে যেন মস্তিষ্কের ভিতরে রকিং চেয়ারে বসে কেউ টিভি দেখছে থ্রিডি প্রযুক্তিতে।
প্রকৃতি গাছপালা দেখার জন্য চোখ তুলে তাকানো লাগবে না। পাশ দিয়ে কে যাচ্ছে সেটাও তারা স্ক্রিনেই দেখতে পাবে।
তারা হাঁটতে পারবে।তাদের পা থাকবে হাত থাকবে।তারা খাবে কি-না এটা নিয়ে একটু চিন্তিত। তাদের রোগপীড়া খুব কম হবে। হলেও তাদের শরীর স্বয়ং গুগলের সাথে কন্ট্যাক্ট করে নেবে। নিজেরাই সেটার চিকিৎসা করে নিতে পারবে।ইউটিউবে তাদের চোখের সামনে ভেসে উঠবে অপারেশন সিস্টেম।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *