বৃষ্টি পায়ে পায়ে

বৃষ্টি পায়ে পায়ে কোনোদিন কি হাঁটব না আমরা, এক ছাতার নিচে? কাঁচা হলুদ রঙের ছাতার নিচে, একটা ভেজা মেঘলা দিনে—তুমি-আমি
এই কংক্রিট-ঘেরা কাচের শহরের বুভুক্ষের ফুটপাথে কি রেখে যাব না আমাদের পায়ের ছাপ?
কোনো এক দুপুরে কপালের রৌদ্র মুছে আমরা কি ভিড়ব না অবহেলিত কঙ্কাল নাগরিকদলের মিছিলে? উচ্চারণ করব না আমাদের অজেয় অবসন্ন ক্লান্ত দাবি?
আমরা কি কোনো মুনলিট রাতে গলির মোড়ে পরস্পর দুটো গোপন চুমুর স্মৃতি আঁকব না? আমরা কি অনুভব করব না কারো চোখে পড়ে যাওয়ার ভয়ে কীভাবে দুটি কোমল সচেতন হৃদিবক্ষ দুরুদুরু করে ওঠে? অথবা কলঙ্কের কালি মেখে নেবার একটু দুঃসাহস কি উপলব্ধি করব না আমরা?
আমরা কি তবে শুনব না আমাদের সদ্যজাত শিশুসন্তানের চিৎকার? দেখব না আমাদের ঔরসজাত নবাগত শিশুটির পুটুপুটু দুটি চোখ? তার তুলতুলে গায়ের দুধেল সুবাস আঘ্রাণ করব না?
আমরা কি কবিতায় কবিতায় রচিব, আমাদের বিচ্ছেদোত্তর কথোপকথন?
কোন এক হৈমন্তিক সন্ধের জানালায় জোছনা দেখতে দেখতে আমরা কি কখনও খুঁজব, আমাদের সেইসব হারিয়ে যাওয়া ধুলিমলিন স্মৃতির একটি দুটি আধুলি?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *