নিকষকালো ঘুটঘুটে অন্ধকা

নিকষকালো ঘুটঘুটে অন্ধকার। একটা মলিন কোলাহল বিবর্জিত অনুজ্জ্বল মায়াময় নিস্তব্ধ অন্ধকার। শুধু কয়েকটি ঝিঁঝি পোকা ঝিঁ ঝি করে ডেকে চলে যাচ্ছে ঘোর অন্ধকারের ভিতর দিয়ে। মিটমিট করে জ্বলছে ওদের পশ্চাৎদেশ। চাঁদ ওঠেনি। এমন ভরা অমাবস্যা জর্জরিত একটা রাত আমার ভালো লাগে।
অন্ধকারেরও আবার রঙ হয়! হয়। যেমন হয় অন্ধত্বের রঙ।
কুমড়ো ফুলের গর্ভমুণ্ডে যে ভ্রমরটা বনবন করে মধু লেহন করে, সে ভ্রমরের গায়ের রঙ কেন জানি আমাকে টানে। তার বিষের ভয় উপেক্ষা করে আমাকে ছুটে যেতে বাধ্য করে।
ঝড় উঠার পূর্বে ঘনমসৃণ কালো অম্বরী-মেঘের রং আমার ভীষণ প্রিয়।
যে রঙে মিশে গেলে কেউ খুঁজে পায় না, সে-রঙটি আমার প্রিয় রঙ।
নারীর বুকের ওপর ছোট্ট তিলের রঙটি আমার প্রিয় রঙ।
কালো গায়ের রঙের মেয়েটিকে কি আমার সত্যিই ভালো লাগবে?
শ্বেত বুকে কালো তিল হয়তো কবির চোখে অসাধারণ সুন্দর লাগে। লাগবে। কিন্তু তাই বলে তিলে ভরা মুখ কার ভালো লাগে।
লাগে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *